ads

সামুদ্রিক জাহাজ, অজানা গন্তেব্যের দিকে।

                সামুদ্রিক জাহাজ, অজানা গন্তেব্যের দিকে। 





এখানে সংগঠিত প্রসিদ্ধ কয়েকটি ঘটনা সম্পর্কে আরাে বিস্তারিত জানুন।

 (১) জাপানী পেট্রোলবাহী জাহাজ "কায়ােমারাে-৫" (kaio maro No-5)। এটি একটি বড় পেট্রোলবাহী জাহাজ, ৩১ জন কর্মী ছিল। গায়েব হওয়ার সময় পাঁচশত টন পেট্রোল তাতে মজুদ ছিল। ৯ জন বিজ্ঞানী/গবেষকও তাতে অন্তর্ভুক্ত ছিল। হেডকোয়ার্টারের সাথে তার সর্বশেষ যােগাযােগ হয়েছিল ২৪-০৯১৯৫২। এরপর আর তার কোন হদিস পাওয়া যায়নি।

 (২) জাপানী মালবাহী জাহাজ "কোরােশিয়ােমারাে-২"। এটিও একটি বিশালাকৃতিরি মালবাহী জাহাজ। যাতে ১৫২৫ টন মাল মজুদ ছিল। একেও সমুদ্র গিলে ফেলেছে, কোন তথ্য পরবর্তীতে পাওয়া যায়নি। সর্বশেষ যােগাযােগ হয়েছিল ২২-০৪-১৯৪৯।

(৩) ফ্রান্সিস জাহাজ "জিরানিয়ােম"। এই জাহাজ সর্বশেষ ২৪-১১-১৯৪৭ বার্তাটি প্রেরণ করেছিল। আবহাওয়া স্বাভাবিক অবস্থায় রয়েছে"। এরপর ২৯ জন কর্মী সহকারে স্থায়ীভাবে সমুদ্রের বুকে বিলীন হয়েছে। কোন পাত্তা পাওয়া যায়নি।

 (৪) মালবাহী জাহাজ "বানালােনা। এটি একটি লাইবেরিয়ান জাহাজ। মালের পরিমাণ ছিল তাতে ১৩৬১৬ টন। কর্মীর সংখ্যা ৩৫। ১৯৭১ সালের নভেম্বর মাসে শয়তানী সমুদ্রে বিসর্জিত হয়েছে।

 (৫) মালবাহী জাহাজ "মাছজোছার"। এটিও লাইবেরিয়ান জাহাজ। প্রত্যক্ষদর্শীর বক্তব্যানুযায়ী এটি শয়তানী সমুদ্রের সীমানায় ছিল। হঠাৎ জাহাজের চারপাশে আগুন প্রদর্শিত হলাে। এ আগুন জাহাজ থেকে নয়; বরং পানি থেকে সৃষ্টি হয়ে জাহাজের দিকে অগ্রসর হচ্ছিল। তৎক্ষনাৎ অনেকেই এ দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি করে ফেলেছিল; যাতে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছিল যে, জাহাজের চারপাশে পানির উপরিভাগে আগুন। আশ্চর্যের বিষয়- জাহাজে বারুদ বা পেট্রোল জাতীয় কোন পদার্থ ছিলনা। এথেকেও আরাে আশ্চর্যের বিষয়- জাহাজের চারপাশে বেষ্টনকারী আগুন তৃভােজের আকৃতিতে ছিল। আরােহী ছিল ১২৪ জন। এ ঘটনা ১৯৮৭ সালের মার্চ মাসে ঘটেছিল।



(৬) মালবাহী জাহাজ "সূফিয়াবাবাছ"। জাহাজ জাপানের রাজধানী টোকিও সমুদ্রবন্দর থেকে রওয়ানা হওয়ার কিছুক্ষন পর দুই টুকরা হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু গায়েব হয়নি। সামুদ্রিক রহস্য উন্মােচণকারী সব অত্যাধুনিক প্রযুক্তি এর রহস্য উদঘাটনে অপারগ। কারন অজানা। তদন্তের দরজা বন্ধ। চিন্তা করেন !!

(৭) গ্রীক জাহাজ "আজােেছ জিয়ােরজিছ"। এটি একটি বড় ধরনের ব্যবসায়ীক জাহাজ। যা ২৯ জন কর্মী সহকারে গায়েব করা হয়েছে। ১২৫২৫ টন রসদ তাতে মজুদ ছিল। না জাহাজের কোন খবর পাওয়া গেছে, না কর্মীদের, না এত অধিক পরিমান রসদ বিলীন হওয়ার কোন চিহ্ন পানির উপর পাওয়া গেছে।

                                                 রাসায়ণিক সাবমেরিন গায়েব।


 জাহাজ গায়েব হওয়ার ব্যাপারে তাে বাহানা পেশ করা যায় যে, জাহাজ ডুবে গেছে। কিন্তু অত্যাধুনিক সাবমেরিন গায়েব হওয়ার ব্যাপারে আপনি কি বলবেন; যাতে অত্যাধুনিক যােগাযােগ প্রযুক্তি ওয়ারলেস সিষ্টেম বিদ্যমান ছিল ?? আবার সাবমেরিনগুলিও সাধারণ মানের নয়; রাসায়ণিক সাবমেরিন। এখন চিন্তা করুন- কোন সুপারপাওয়ারের রাসায়ণিক সাবমেরিন বিনাকারণে গায়েব হয়ে গেল। অথচ এত বড় ঘটনার পরও কোন পেরেশানী বা অস্থিরতা পরিলক্ষিত হয়নি। মনে হয় যে, যে দিয়েছিল সেই ফেরৎ নিয়ে নিয়েছে।

(১) রাশিয়ান সাবমেরিন ভেক্টর-১। এটি ছিল একটি অত্যাধুনিক রাসায়ণিক সাবমেরিন। ১৯৮৪ সালের মার্চ মাসে কর্মীদের সহ শয়তানী সমুদ্রের গােপন শক্তির কাছে চলে গেছে। কর্মীদের সংখ্যা অজানা (মনে হয় অনেক বিশেষ ব্যক্তিবর্গ এতে শামিল ছিল)।

 (২) রাশান সাবমেরিন একো-১। প্রথম সাবমেরিন গায়েব হওয়ার পাঁচ মাস পরেই সেপ্টেম্বর মাসে উপকূল থেকে ৬০ কি: মি: দূরে এটাকেও শয়তানী সমুদ্রের গােপন শক্তি কোন জরুরী কাজের জন্য কাছে টেনে নেয়। একটু চিন্তা করেন- রাসায়ণিক সাবমেরিন, পথে ঘাটের কোন খেলনা নয় যে, কোন বিষয়ই না।

(৩) রাশিয়ান সাবমেরিন একো-২। জানুয়ারী ১৯৮৬ তে এটাও ওই এলাকার নজরবন্দী হয়েছে। এটিও রাসায়নিক সাবমেরিন।

(৪) রাশায়নিক সাবমেরিন জুলেফ-১। এপ্রিল ১৯৬৮ তে গায়েব হয়েছে। কর্মীদের সংখ্যা ৮৬ জন। ৮০০ কিঃ গ্রাঃ রাসায়ণিক পদার্থ মজুদ ছিল। কোন কারণ ছাড়াই সবকিছু সহ পানির অতল গহবরে চলে গেছে।

 (৫) ফ্রান্সিস সাবমেরিন চারলি। রাসায়নিক সাবমেরিন। সেপ্টেম্বর ১৯৮৪ তে ৯০ জন কর্মচারীসহ ঐ এলাকায় গায়েব হয়েছে।

 (৬) ব্রিটিশ সাবমেরিন কেস্ট্রল। নভেম্বর ১৯৮৬ তে সকল কর্মচারীদের সহ গায়েব।

No comments

Powered by Blogger.