ads

আদর্শ স্ত্রীর বিশেষ গুন। ঈমানের ব্যাপারে স্বামীকে সাহাজ্য করা।

আদর্শ স্ত্রীর বিশেষ গুন। ঈমানের ব্যাপারে স্বামীকে সাহাজ্য করা।



একটি হাদীসে আরাে একটি অতিরিক্ত গুণ বর্ণনা করা হয়েছে। যার ব্যাখ্যা এরূপঃ হযরত সাহাবায়ে কেরাম মহানবী (সাঃ) এর নিকট আরজ করলেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ! যদি আমরা জানতে পারতাম, কোনটি সর্বোত্তম মাল? যা আমরা অর্জন করতাম, তাহলে খুব ভাল হত। তখন মহানবী (সাঃ) ইরশাদ করলেন । . সর্বোত্তম মাল যিকিরকারী জিহ্বা, কৃতজ্ঞতা প্রকাশকারী অন্তর এবং ঐ মুমিন স্ত্রী, যে তার স্বামীকে ঈমানের ব্যাপারে সাহায্য করে। -মুসনাদে আহমদ ও তিরমিযী

যে জিনিষ দ্বারা কাজ সমাধা হয় এবং প্রয়ােজন পূর্ণ হয়, সেটা মাল। মানুষ সাধারণতঃ স্বর্ণ, রূপা, টাকা, পয়সা, দেরহাম, দানানীর, বাড়ি-ঘর, দোকান-পাট, গরু-ছাগল, চতুষ্পদ জন্তুকে মাল মনে করে। অথচ হাদীস শরীফের দৃষ্টিতে মাল ঐ জিনিষ, যা উপরে উল্লেখিত হয়েছে। এতে খুব বেশী উপকার হয় এবং বন্দার অনেক কাজে আসে। যিকিরকারী জিহ্বা এবং কৃতজ্ঞতা প্রকাশকারী অন্তর সবচে’ বড় দৌলত। আর স্ত্রীও বড় মূল্যবান সম্পদ।

 স্ত্রী এমন গুণের অধিকারিনী, যে স্বামীকে ধর্মীয় কাজ-কর্মে সাহায্য করে। ঈমানের উপর স্বামীকে সাহায্য করার ব্যাখ্যা মুল্লা আলী কারী (রাঃ) স্বীয় গ্রন্থ মেরকাত শরহে মেশকাতে লিখেছেন ? ঈমানের উপর সাহায্য করার উদ্দেশ্য এই যে, স্বামীকে দ্বীনদারীর ব্যাপারে সহযােগিতা করে এবং নির্দিষ্ট সময়ে তাকে নামায, রােযার ব্যাপারে স্মরণ করিয়ে দেয় এবং অন্যান্য ইবাদতে স্বামীকে উৎসাহিত করে। বিশেষ করে তাকে যেনা ব্যাভিচার এবং সর্ব প্রকার গুনাহ থেকে বিরত রাখে। বস্তুতঃ আমাদের নিত্য পরিবর্তনশীল পরিবেশ ও ইসলাম বিরােধী সমাজ ব্যবস্থা সংশােধনে এমন গুণবতী নারীর একান্ত প্রয়ােজন। যে নিজেও দ্বীনদার হবে এবং স্বীয় স্বামী ও সন্তান সন্ততিকে দ্বীনদার বানানাের চেষ্টা করবে। কিন্তু এর বিপরিত এ সমাজ ব্যবস্থা তৈরী হয়ে রয়েছে। যদি কোন ব্যক্তি দ্বীনের উপর চলতে চায়। তাে বন্ধু-বান্ধব, পাড়া-প্রতিবেশীরা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে এবং তাকে দ্বীন থেকে বিরত রাখতে চেষ্টা করে। অন্যান্যদের সাথে ঘরের স্ত্রীও দ্বীনদারী এখতিয়ার করতে বাধা প্রদান করে এবং দ্বীনদারী থেকে বিরত রাখতে বিভিন্ন প্রকার বাহানা তালাশ করে। মুল্লা হওয়ার ঘৃণা দেয়, দাড়ি রাখতে নিষেধ করে। পাঞ্জাবী পাজামা পরিধান করলে “বাউল” বলে তিরস্কার ও ভৎসনা দেয়। ঘুষ না খেলে আকথা কুকথা শুনিয়ে দেয়।


হে আল্লাহ! আমাদের সমাজে মুমিন স্ত্রীর খুব প্রয়ােজন। নারী-পুরুষ সকলের মধ্যে ঈমানী উৎসাহ-উদ্দীপনা সৃষ্টি করে দাও। বিশেষ করে যারা আদর্শ স্ত্রী হতে চায়, তাদের অন্তরে তােমার হুকুম মান্য করার এবং তােমার প্রিয় হাবীব (সাঃ) এর সুন্নতের উপর চলার তাউফীক দান কর। মুসলিম পরিবারের প্রতিটি নারীকে হযরত খাদীজা (রাঃ) হযরত আয়িশা (রাঃ) হযরত উম্মে সালামা সহ নবী পত্নীদের এবং হযরত ফাতিমা সহ অন্যান্য নবী নন্দীনীদের আদর্শে আদর্শবান হয়ে আদর্শ স্ত্রীরূপে প্রতিষ্ঠা লাভ করতে পারে সে শক্তি ও হিম্মত দাও। যারা নিজেও গুনাহ থেকে বাচবে, প্রাণপ্রিয় স্বামীকেও গুনাহ থেকে বাঁচাবে। নিজে সুন্দরী হওয়া সত্ত্বেও যাদের স্বামীরা বেগানা নারী বা পরস্ত্রীর প্রতি আকৃষ্ট হয়ে গুনাহে লিপ্ত হয়, তাদের মত পােড়া কপাল, হতভাগা ও ছন্নছাড়া স্ত্রী তৃ-ভূবনে নেই। স্বামীকে গুনাহ থেকে বাঁচানাের একটি সহজ পদ্ধতি পাঠক/পাঠিকাদের সমীপে উপস্থাপন করছি। ভাল লাগলে অন্যকে পড়তে উৎসাহিত করুন।

No comments

Powered by Blogger.