স্বামী-স্ত্রীর আচরণের সৌন্দর্য।
স্বামীর সৌন্দর্য- বিয়ে করার মাধ্যমে আপনি একজন মহিলার স্বামী হয়েছেন। একজন মুসলিম হিসেবে বিয়ে করার সময় আপনার খেয়াল রাখা উচিৎ, আপনি যাকে বিয়ের মাধ্যমে স্ত্রী বানাতে যাচ্ছেন, তিনি যেন আল্লাহ্ ভীরু, গুণবতী ও কর্মদক্ষ মহিলা হন। বিয়ের পরে স্ত্রীর কাছে ভাল স্বামী হবার চেষ্টা করুন। এভাবে চেষ্টা করুন- ০১ - আল্লাহপাক আপনাকে একজন স্ত্রী দান করেছেন, সে জন্য আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞ থাকুন, তার শোকর আদায় করুন। ০২ - স্ত্রীকে বুঝবার চেষ্টা করুন। তার জ্ঞান, বুদ্ধি, মন - মানসিকতা, স্বভাব - প্রকৃতি, দক্ষতা, গুণাবলী, দোষত্রুটি জেনে নিন। ০৩ -তাকে আপনার মনে মত করে গড়ে তুলবার পরিকল্পনা নিন। ০৪ - তার জ্ঞান, বুদ্ধি, যোগ্যতা, প্রতিভা ও গুনাবলীকে বিকশিত করে তুলুন। তাকে সর্বগুণে ফুলের মত প্রস্ফুটিত করে তুলুন। ০৫ - তার মধ্যে যেসব ত্রুটি ও দুর্বলতা আছে, একজন সুচিকিৎসকের মতে সেগুলা নিরাময় করুন। কেননা তিনি তো আপনারই স্ত্রী। ০৬ - তাকে আন্তরিকতার সহিত গভীরতম ভাবে ভালবাসুন। ০৭ - তার সাথে হাসি খুশি মনে কথা বলুন। ০৮ - মাঝেমাঝে তাকে নিয়ে বেড়াতে যান। ০৯ - তার সাথে চমৎকার আচরণ করুন, তার ভাল গুণাবলীর প্রশংসা করুন। ১০ - তার কাছে ভরসা পূর্ণ, বিশ্বস্ত ও ব্যক্তিত্ববান হোন। ১১ - স্ত্রীর সাথে পরামর্শ করে কাজ করুন। ১২ - তার অবদানের স্বীকৃতি দিন। ১৩ - তার মানসিক ও জৈবিক দাবী পূরণ করুন। ১৪ - কথা, কাজ এবং রাগ - অনুরাগে তার প্রতি ভালবাসা প্রকাশ করুন। ১৫ - তার ছোট খাটো ত্রুটি - বিচ্যুতি উপেক্ষা করুন। ১৬ - তার ভাল দিকগুলো বিবেচনা করে মন্দ দিকগুলো থেকে ভুলে থাকুন। ১৭ - নিজেকে স্ত্রীর কাছে পরিচ্ছন্ন রাখুন, কোন ব্যাপারে লুকোচুরি করবেন না। ১৮ - তার আবদান রক্ষা করুন। ১৯ - আপনার জন্য কষ্ট করলে তাকে ধন্যবাদ জানান। ২০ - আপনার উপকার করলে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করুন। ২১ - তাকে বিশ্বাস করুন, তার প্রতি আস্থা রাখুন। ২২ - মাঝেমধ্যে তাকে উপকার দিন। ২৩ - সাধ্যানুযায়ী তার খোরপোষের ব্যবস্থা করুন। ২৪ - স্ত্রীর মন রক্ষা করুন। ২৫ - নিজের দায়িত্ব ও সংকট নিয়ে প্রয়োজন মত স্ত্রীর সাথে আলোচনা করুন। আপনার কর্ম ও ব্যস্ততা সম্পর্কে তাকে অবহিত করুন। ২৬ - তাকে সবসময় কিছু হাত খরচের জন্যে টাকা - পয়সা দিন। ২৭ - সমঝোতার মাধ্যমে সংসার খরচের দায়িত্ব ও স্ত্রীকে দিতে পারেন। ২৮ - স্ত্রীর উপার্জিত অর্থ তাকেই খরচ করতে দিন। আপনি কখনো হস্তক্ষেপ করবেন না। ২৯ - স্ত্রীর অভিযোগ ও অসুবিধার প্রতি লক্ষ্য রাখুন এবং দ্রুত দূর করার চেষ্টা করুন। তাকে বলুন, আমি সত্যিই তোমার ভালো চাই। ৩০ - স্ত্রীর যে কোন ভাল প্রস্তাবকে স্বাগত জানান। ৩১ - স্ত্রীর স্বাস্থ্যের ব্যাপারে খোজ-খবর রাখুন। অসুস্থ হলে দ্রুত তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করুন। ৩২ - স্ত্রীর কাছে কোন ভুল করলে, তা স্বীকার করুন। অন্যায় করলে অনুতপ্ত হোন। কষ্ট দেবার জন্যে তাকে জ্বালাতন করবেন না। ৩৩ - স্ত্রীকে বন্ধু বানিয়ে নিন। তার সাথে বন্ধুর মত হৃদ্যতা গড়ে তুলুন এবং বন্ধুর মত আচরণ করুন। ৩৪ - তাকে ঘরের কর্তৃত্বের দায়িত্ব দিন। ৩৫ - সন্তানদের ব্যাপারে তার সাথে পরামর্শ করে কাজ করুন। তাকে বলুন তোমার সন্তানদেরকে সেরা আদর্শবান মানুষ বানাও। ৩৬ - কখনো অন্যের কাছে স্ত্রীর বদনাম করবেন না। ৩৭ - স্ত্রীর আত্মীয়- স্বজনদেরকে সম্মান ও শ্রদ্ধা করুন। ৩৮ - ঘরের কাজে স্ত্রীকে সাধ্যমত সাহাজ্য করুন। ৩৯ - কখনো স্ত্রীর অধিকারে হস্তক্ষেপ করবেন না। ৪০ - সন্তানদের সামনে স্ত্রীকে অপমানিত করবেন না। ৪১ - স্ত্রীর মনের মত হবার চেষ্টা করুন। ৪২ - স্ত্রীকে জিজ্ঞেস করুন, তিনি আপনাকে কেমনভাবে দেখতে চান? আরো ভাল হবার জন্য আপনার কি কি করা দরকার। ৪৩ - কখনো স্ত্রীর গায়ে হাত তুলবেন না। নোটঃ একবার এক প্রবীণ ব্যক্তিকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিলঃ ঐ ব্যক্তি কে, যে ভুল করেনি, তবুও ভুল স্বীকার করে? বৃদ্ধ জবাব দিলেন - ভাল স্বামী।





No comments
Post a Comment