ইসলামিক উপন্যাস। মহীয়সী নারী। পর্ব ৮
ইসলামিক উপন্যাস। মহীয়সী নারী। পর্ব ৮
নাজিফার বয়স এখন ১৪। পূর্বের তুলনায় বড় হয়েছে অনেকটা। পাস করেছে এস.এস.সি। জ্ঞান-গরিমায় অনন্যা নাজিফার দৈহিক গঠনও আকর্ষণীয় হয়েছে। নাজিফা হেফজ্ শেষ করার পর পরই তার সুনাম ছড়িয়ে পড়েছে চর্তুদিকে। নাজিফাকে বধূ হিসেবে পেতে আগ্রহ প্রকাশ করে নাজিফার সম্পর্কে অবগত প্রতিটি যুবক। ছেলেদের পিতা-মাতা বা যাদের উপযুক্ত ছেলে আছে তারাও কামনা করেন, নাজিফা তাদের ঘরের পুত্রবধূ সেজে আসুক। তাই মাত্র ১৪ বছর বয়সের নাজিফার বিয়ের প্রস্তাব আসতে শুরু করেছে বিভিন্ন মহল থেকে।
নাজিফা এখন সাবালিকা। তদুপরি বিভিন্ন জায়গা থেকে বিয়ের প্রস্তাব আসছে। তাই নাজিফা পড়াশুনা বন্ধ করে দিয়েছে। এস.এস.সি পাশ করার পরে আর কলেজে ভর্তি হয়নি। তাছাড়া কলেজের পরিবেশ পছন্দ হয় না নাজিফার। কলেজে ভর্তি না হওয়ার এটিও একটি কারণ।
নাজিফার মায়ের ইচ্ছা, বাপমরা মেয়েটাকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ভালো একটি পাত্র দেখে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করে দেওয়া। যাতে নাজিফার একটি নিরাপদ আশ্রয় হয়। যদিও সরকারী নিয়ম অনুযায়ী ১৮ বছরের আগে মেয়েদের বিয়ে দেওয়া (বাল্যবিবাহ) নামে পরিচত এবং আইনত নিষিদ্ধ। তথাপি আমেনা বেগম এখনি নাজিফাকে বিয়ে দিতে রাজী আছেন। কারণ ইসলামের দৃস্টিকোণ থেকে ছেলে-মেয়ের বিবাহ শুদ্ধ হতে বয়সের কোন সীমারেখা এবং বাধ্যবাধকতা নেই।
বিয়ের ব্যাপারে নাজিফার কোন মতামত নেই। নাজিফার কথা হলো- আমার বাবা নেই। এখন মা-ই আমার অভিভাবক। তাই মা যে সিদ্ধান্ত নেবেন সেটিই আমার সিদ্ধান্ত। মা পছন্দ করে যে ছেলের হাতে আমাকে তুলে দেবেন সে ছেলেকেই আমি আমার স্বামী বলে গ্রহণ করবো। নাজিফা যদিও বিয়ের ব্যাপারে কোন মত প্রকাশ করেনি, তবুও তার মনের আশা - যে ছেলে আমার জীবনসঙ্গি হবে, সে যেনো পবিত্র কুরআনের হাফেজ হয়। হাফেজ-মাওলানা উভয়টি হলে আরো ভাল। নাজিফার মা-ও চান নাজিফাকে তার যোগ্য পাত্রের হাতে তুলে দিতে।
নাজিফা ধর্মীয় বিধি- নিষেধের প্রতি খুবই যত্নশীল। ওর সমবয়সী মেয়েরা যেখানে খেলাধুলা, হাসি-তামাসা ও রঙ - ঢঙে লিপ্ত, নাজিফা সেখানে ইবাদাত-বন্দেগী করে কিভাবে মহান আল্লাহ্ তায়ালাকে খুশী করা যায়, সে চিন্তায় মগ্ন। নাজিফা ভাবে- আমি কুরআনের হাফেজা। মহান আল্লাহ্ পাক অনুগ্রহ করে আমাকে পবিত্র কুরআন মুখস্ত করার মতো মহাদৌলত দান করেছেন। আমার দায়িত্ব এই মহাদৌলতের যথাযথ কদর করা। অন্যসব মেয়েদের মতো আমি নই। তাদের সাথে আমার তাল মিলালে চলবে না। তারা নামাজ পড়ুক বা না পড়ুক, আমাকে নামাজ পড়তেই হবে। তারা পর্দা করুক আর না করুক, আমাকে পর্দা করতেই হবে। কারণ আমার কবরে তারা যাবে না। আমার কবরে আমাকেই যেতে হবে। সুতরাং অমুকে
নামাজ পড়ে না, আমি পড়ব কেনো..? অমুকে পর্দা করেনা, আমি করবো কেনো..? এসব অবান্তর প্রশ্নের কোনই অবকাশ নেই। তাইতো বালেগা হওয়ার পর থেকে অদ্যাবধি এক ওয়াক্ত নামাজ ও কাজা করেনি নাজিফা। পর্দা সম্পর্কে জ্ঞাত হওয়ার পর থেকে, আজ পর্যন্ত নাজিফা কোন বেগানা পুরুষ এর সামনে যায়নি। তাদেরকে কুরআন তেলাওয়াতও শুনায়নি। অথচ নাজিফার তেলাওয়াত ও কথা শুনার আগ্রহ প্রকাশ করে অনেক যুবক।কিন্তু নাজিফা জানে স্রস্টার (আল্লাহ্ তায়ালার) অবাধ্য হয়ে সৃস্টির (মানুষ এর) আনুগত্য করা যায়েজ নেই।
নাজিফা শুধু দ্বীনদারীর দিক দিয়ে যে অন্য মেয়েদের চেয়ে এগিয়ে তা কিন্তু নয়,। বরং তার চারিত্রিক গুণাবলি ও ঈর্ষণীয়। নম্র,ভদ্র ও অমায়িক মেয়ে নাজিফা। তার আখলাক- চরিত্রের উত্তম মাধুর্যে সকলে মুগ্ধ। তাইতো মাত্র ১৪ বছর বয়স হতেই বিয়ের প্রস্তাব আসতে শুরু করেছে।কেননা, জ্ঞানী ছেলে মাত্রই কামনা করে- তার ঘরে বঁধু সেজে এমন একটি মেয়ে আসুক যে হবে দ্বীনদার, পরহেজগার, নম্র,ভদ্র,সম্ভ্রান্ত, মিতব্যয়ী, শিক্ষিতা,জ্ঞানী ও বুদ্ধিমতী। জ্ঞানী ছেলেরা সুন্দরী ও ধনীর চেয়ে কনের এসব গুনকেই পাধান্য দেয় বেশী। আর এসব গুণ-গরিমার সাথে যদি সুন্দরী ও অর্থবিত্ত যুক্ত হয়, তবে তো সোনায় সোহাগা। যেমন হাদীস শরীফে আছে - রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন- নারীকে চার কারনে বিবাহ করা হয়।
১. ধন সম্পদের কারনে। ২. বংশ মর্যাদার কারনে। ৩. সৌন্দর্যের কারনে। ৪. দ্বীনদারীর কারনে। সুতরাং তুমি ধার্মিক নারী লাভ করে কামিয়াব হয়ে যাও। তোমার হস্তদয় ধ্বংস হোক ( অর্থাৎ তুমি ধ্বংস হও) যদি ধার্মিক ব্যতীত অন্য নারীকে বিয়ে করো। [বুখারী, মুসলিম,মেশকাত, পৃস্টা: ২৬৭] এ হাদীসে বিয়ের কনে নির্বাচনের ক্ষেত্রে কনের অন্যসব গুনের তুলনায় দ্বীনদারীকে প্রাধান্য দিতে বলা হয়েছে। অবশ্য নাজিফার মাঝে দ্বীনদারীর পাশাপাশি অন্যসব গুণাবলি ও বিদ্যমান আছে। এ জন্যেই নাজিফাকে জীবনসঙ্গিনী হিসেবে পাওয়ার আশা অনেক যুবকের।
বস্তুতঃ নেককার ও দ্বীনদার স্ত্রী পাওয়া বড়ই ভাগ্যের ব্যাপার। হযরত আবু উমামা রাযি. রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন- মুমিন বান্দা আল্লাহ্ তায়ালার ভয় লাভের পর নেককার স্ত্রী ব্যতিত উত্তম আর কিছুই লাভ করতে পারে না। (নেককার স্ত্রীর গুণ হলো) ১. যদি স্বামী তাকে কোন বৈধ আদেশ দেয়, সে তা পালন করে। ২. যদি স্বামী তার দিকে তাকায়, তাহলে সে মিস্টিমধুর হাসি দিয়ে স্বামীকে খুশী করে দেয়। ৩. যদি স্বামী তাকে লক্ষ করে কোন শপথ করে, সে তা পূর্ণ করে। ৪. যদি স্বামী তার থেকে দূরে (সফরে) চলে যায়, সে তার নিজের বিষয় (সতীত্বের) ও স্বামীর মাল- সামানার বিষয়ক নিয়ে মংগল কামনা করে। ( অর্থাৎ হেফাজত করে)। (ইবনে মাজাহ, মেশকাত পৃস্টা : ২৬৮) এ কারনেই অপর একটি হাদীসে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন- গোটা দুনিয়াই হলো সম্পদ। আর দুনিয়ার শ্রেষ্ঠ সম্পদ হলো নেককার স্ত্রী। (মুসলিম, মেশকাত পৃস্টা : ২৬৭)
আসলে নেককার স্ত্রী যে স্বামীর ঘরে থাকে, সে দুনিয়াতে বসেই জান্নাতী সুখ অনুভব করতে পারে। আর এ জন্যেই নাজিফার এতো কদর। কিন্তু প্রশ্ন হলো নাজিফার বধূ সেজে যার ঘরে যাবে, যার হাতে অর্পণ করবে নিজের জীবন- যৌবন ; সে কি পারবে নাজিফার যথাযথ মূল্যায়ন করতে...?? পারবে কি নাজিফাকে সুখী করতে...? পারবে কি রিদয়ের সবটুকু ভালবাসা মিশিয়ে তাকে নিয়ে সুখের স্বপ্ননীড় গড়তে...?
প্রিয় পাঠক, ৯ নম্বর পর্ব আগামীকাল ইনশাআল্লাহ আপনাদের মাঝে প্রকাশ করবো দোয়া করিবেন, মহান আল্লাহ্ তায়ালা আমাকে যেন সফলতা দান করেন, এবং আল্লাহ্ তায়ালা আমাকে দ্বীনের খেদমতে কবুল করেন। আমীন ছুম্মা আমীন
-----------------------------------------------------------------------
সিরিজঃ মহীয়সী নারী। পার্ঠ (৮)
লেখকঃ মাওলানা মুহাম্মাদ মফীজুল ইসলাম
সংকলনেঃ আমি হাফেজ মুহাম্মাদ জিয়াউর রহমান
নাজিফার বয়স এখন ১৪। পূর্বের তুলনায় বড় হয়েছে অনেকটা। পাস করেছে এস.এস.সি। জ্ঞান-গরিমায় অনন্যা নাজিফার দৈহিক গঠনও আকর্ষণীয় হয়েছে। নাজিফা হেফজ্ শেষ করার পর পরই তার সুনাম ছড়িয়ে পড়েছে চর্তুদিকে। নাজিফাকে বধূ হিসেবে পেতে আগ্রহ প্রকাশ করে নাজিফার সম্পর্কে অবগত প্রতিটি যুবক। ছেলেদের পিতা-মাতা বা যাদের উপযুক্ত ছেলে আছে তারাও কামনা করেন, নাজিফা তাদের ঘরের পুত্রবধূ সেজে আসুক। তাই মাত্র ১৪ বছর বয়সের নাজিফার বিয়ের প্রস্তাব আসতে শুরু করেছে বিভিন্ন মহল থেকে।
নাজিফা এখন সাবালিকা। তদুপরি বিভিন্ন জায়গা থেকে বিয়ের প্রস্তাব আসছে। তাই নাজিফা পড়াশুনা বন্ধ করে দিয়েছে। এস.এস.সি পাশ করার পরে আর কলেজে ভর্তি হয়নি। তাছাড়া কলেজের পরিবেশ পছন্দ হয় না নাজিফার। কলেজে ভর্তি না হওয়ার এটিও একটি কারণ।
নাজিফার মায়ের ইচ্ছা, বাপমরা মেয়েটাকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ভালো একটি পাত্র দেখে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করে দেওয়া। যাতে নাজিফার একটি নিরাপদ আশ্রয় হয়। যদিও সরকারী নিয়ম অনুযায়ী ১৮ বছরের আগে মেয়েদের বিয়ে দেওয়া (বাল্যবিবাহ) নামে পরিচত এবং আইনত নিষিদ্ধ। তথাপি আমেনা বেগম এখনি নাজিফাকে বিয়ে দিতে রাজী আছেন। কারণ ইসলামের দৃস্টিকোণ থেকে ছেলে-মেয়ের বিবাহ শুদ্ধ হতে বয়সের কোন সীমারেখা এবং বাধ্যবাধকতা নেই।
বিয়ের ব্যাপারে নাজিফার কোন মতামত নেই। নাজিফার কথা হলো- আমার বাবা নেই। এখন মা-ই আমার অভিভাবক। তাই মা যে সিদ্ধান্ত নেবেন সেটিই আমার সিদ্ধান্ত। মা পছন্দ করে যে ছেলের হাতে আমাকে তুলে দেবেন সে ছেলেকেই আমি আমার স্বামী বলে গ্রহণ করবো। নাজিফা যদিও বিয়ের ব্যাপারে কোন মত প্রকাশ করেনি, তবুও তার মনের আশা - যে ছেলে আমার জীবনসঙ্গি হবে, সে যেনো পবিত্র কুরআনের হাফেজ হয়। হাফেজ-মাওলানা উভয়টি হলে আরো ভাল। নাজিফার মা-ও চান নাজিফাকে তার যোগ্য পাত্রের হাতে তুলে দিতে।
নাজিফা ধর্মীয় বিধি- নিষেধের প্রতি খুবই যত্নশীল। ওর সমবয়সী মেয়েরা যেখানে খেলাধুলা, হাসি-তামাসা ও রঙ - ঢঙে লিপ্ত, নাজিফা সেখানে ইবাদাত-বন্দেগী করে কিভাবে মহান আল্লাহ্ তায়ালাকে খুশী করা যায়, সে চিন্তায় মগ্ন। নাজিফা ভাবে- আমি কুরআনের হাফেজা। মহান আল্লাহ্ পাক অনুগ্রহ করে আমাকে পবিত্র কুরআন মুখস্ত করার মতো মহাদৌলত দান করেছেন। আমার দায়িত্ব এই মহাদৌলতের যথাযথ কদর করা। অন্যসব মেয়েদের মতো আমি নই। তাদের সাথে আমার তাল মিলালে চলবে না। তারা নামাজ পড়ুক বা না পড়ুক, আমাকে নামাজ পড়তেই হবে। তারা পর্দা করুক আর না করুক, আমাকে পর্দা করতেই হবে। কারণ আমার কবরে তারা যাবে না। আমার কবরে আমাকেই যেতে হবে। সুতরাং অমুকে
নামাজ পড়ে না, আমি পড়ব কেনো..? অমুকে পর্দা করেনা, আমি করবো কেনো..? এসব অবান্তর প্রশ্নের কোনই অবকাশ নেই। তাইতো বালেগা হওয়ার পর থেকে অদ্যাবধি এক ওয়াক্ত নামাজ ও কাজা করেনি নাজিফা। পর্দা সম্পর্কে জ্ঞাত হওয়ার পর থেকে, আজ পর্যন্ত নাজিফা কোন বেগানা পুরুষ এর সামনে যায়নি। তাদেরকে কুরআন তেলাওয়াতও শুনায়নি। অথচ নাজিফার তেলাওয়াত ও কথা শুনার আগ্রহ প্রকাশ করে অনেক যুবক।কিন্তু নাজিফা জানে স্রস্টার (আল্লাহ্ তায়ালার) অবাধ্য হয়ে সৃস্টির (মানুষ এর) আনুগত্য করা যায়েজ নেই।
নাজিফা শুধু দ্বীনদারীর দিক দিয়ে যে অন্য মেয়েদের চেয়ে এগিয়ে তা কিন্তু নয়,। বরং তার চারিত্রিক গুণাবলি ও ঈর্ষণীয়। নম্র,ভদ্র ও অমায়িক মেয়ে নাজিফা। তার আখলাক- চরিত্রের উত্তম মাধুর্যে সকলে মুগ্ধ। তাইতো মাত্র ১৪ বছর বয়স হতেই বিয়ের প্রস্তাব আসতে শুরু করেছে।কেননা, জ্ঞানী ছেলে মাত্রই কামনা করে- তার ঘরে বঁধু সেজে এমন একটি মেয়ে আসুক যে হবে দ্বীনদার, পরহেজগার, নম্র,ভদ্র,সম্ভ্রান্ত, মিতব্যয়ী, শিক্ষিতা,জ্ঞানী ও বুদ্ধিমতী। জ্ঞানী ছেলেরা সুন্দরী ও ধনীর চেয়ে কনের এসব গুনকেই পাধান্য দেয় বেশী। আর এসব গুণ-গরিমার সাথে যদি সুন্দরী ও অর্থবিত্ত যুক্ত হয়, তবে তো সোনায় সোহাগা। যেমন হাদীস শরীফে আছে - রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন- নারীকে চার কারনে বিবাহ করা হয়।
১. ধন সম্পদের কারনে। ২. বংশ মর্যাদার কারনে। ৩. সৌন্দর্যের কারনে। ৪. দ্বীনদারীর কারনে। সুতরাং তুমি ধার্মিক নারী লাভ করে কামিয়াব হয়ে যাও। তোমার হস্তদয় ধ্বংস হোক ( অর্থাৎ তুমি ধ্বংস হও) যদি ধার্মিক ব্যতীত অন্য নারীকে বিয়ে করো। [বুখারী, মুসলিম,মেশকাত, পৃস্টা: ২৬৭] এ হাদীসে বিয়ের কনে নির্বাচনের ক্ষেত্রে কনের অন্যসব গুনের তুলনায় দ্বীনদারীকে প্রাধান্য দিতে বলা হয়েছে। অবশ্য নাজিফার মাঝে দ্বীনদারীর পাশাপাশি অন্যসব গুণাবলি ও বিদ্যমান আছে। এ জন্যেই নাজিফাকে জীবনসঙ্গিনী হিসেবে পাওয়ার আশা অনেক যুবকের।
বস্তুতঃ নেককার ও দ্বীনদার স্ত্রী পাওয়া বড়ই ভাগ্যের ব্যাপার। হযরত আবু উমামা রাযি. রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন- মুমিন বান্দা আল্লাহ্ তায়ালার ভয় লাভের পর নেককার স্ত্রী ব্যতিত উত্তম আর কিছুই লাভ করতে পারে না। (নেককার স্ত্রীর গুণ হলো) ১. যদি স্বামী তাকে কোন বৈধ আদেশ দেয়, সে তা পালন করে। ২. যদি স্বামী তার দিকে তাকায়, তাহলে সে মিস্টিমধুর হাসি দিয়ে স্বামীকে খুশী করে দেয়। ৩. যদি স্বামী তাকে লক্ষ করে কোন শপথ করে, সে তা পূর্ণ করে। ৪. যদি স্বামী তার থেকে দূরে (সফরে) চলে যায়, সে তার নিজের বিষয় (সতীত্বের) ও স্বামীর মাল- সামানার বিষয়ক নিয়ে মংগল কামনা করে। ( অর্থাৎ হেফাজত করে)। (ইবনে মাজাহ, মেশকাত পৃস্টা : ২৬৮) এ কারনেই অপর একটি হাদীসে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন- গোটা দুনিয়াই হলো সম্পদ। আর দুনিয়ার শ্রেষ্ঠ সম্পদ হলো নেককার স্ত্রী। (মুসলিম, মেশকাত পৃস্টা : ২৬৭)
আসলে নেককার স্ত্রী যে স্বামীর ঘরে থাকে, সে দুনিয়াতে বসেই জান্নাতী সুখ অনুভব করতে পারে। আর এ জন্যেই নাজিফার এতো কদর। কিন্তু প্রশ্ন হলো নাজিফার বধূ সেজে যার ঘরে যাবে, যার হাতে অর্পণ করবে নিজের জীবন- যৌবন ; সে কি পারবে নাজিফার যথাযথ মূল্যায়ন করতে...?? পারবে কি নাজিফাকে সুখী করতে...? পারবে কি রিদয়ের সবটুকু ভালবাসা মিশিয়ে তাকে নিয়ে সুখের স্বপ্ননীড় গড়তে...?
প্রিয় পাঠক, ৯ নম্বর পর্ব আগামীকাল ইনশাআল্লাহ আপনাদের মাঝে প্রকাশ করবো দোয়া করিবেন, মহান আল্লাহ্ তায়ালা আমাকে যেন সফলতা দান করেন, এবং আল্লাহ্ তায়ালা আমাকে দ্বীনের খেদমতে কবুল করেন। আমীন ছুম্মা আমীন
-----------------------------------------------------------------------
সিরিজঃ মহীয়সী নারী। পার্ঠ (৮)
লেখকঃ মাওলানা মুহাম্মাদ মফীজুল ইসলাম
সংকলনেঃ আমি হাফেজ মুহাম্মাদ জিয়াউর রহমান





No comments
Post a Comment