ইসলামিক উপন্যাস, মহিয়সী নারী। পর্ব ২।
ইসলামিক উপন্যাস, মহিয়সী নারী। পর্ব ২
শিশুদের মধ্যে যারা চঞ্চল তাদেরকে সবাই ভালবাসে। আদর করে। স্নেহ করে। কারন তারা মিস্টিমাখা সুন্দর সুন্দর কথা বলে মাতিয়ে রাখে বড়দের। নাজিফাও এক্ষেত্রে কম না। চঞ্চলতা ও বাকপটুতায় সবার মধ্যে অনন্যা। তার কথার নৈপূন্য দ্বারা সেও জয় করে নিয়েছে সকলের মন। মাযহার সাহেব বাজার থেকে নাজিফার জন্যে দু'টি ফ্রক আনলেন। ডাকলেন নাজিফাকে। দেখালেন ফ্রক দু'টি। জিজ্ঞেস করলেন পছন্দ হয়েছে কিনা..?? নাজিফা নেড়ে নেড়ে দেখলেন ফ্রক দু'টি। পছন্দ হয়েছে। তবুও কৌতুহলী হয়ে প্রশ্ন করল সে- আব্বা- বাজার কি আর কোনো ফ্রক ছিলনা? ছিল- মাযহার সাহেবের উত্তর। তাহলে আমার জন্যে মাত্র দুইটা ফ্রক আনলেন কেনো? তোমার তো আরো জামা কাপড় আছে, কয়েকদিন পর আবার এনে দেব। একসাথে বেশী এনে লাভ কি? এখন এ দুটোই পরো, কয়েকদিন পর আবার এনে দেবো। বুঝলাম, তবে এ দুটো আনলেন কেনো? অন্য দুটোও তো আনতে পারতেন? এই দুইটাই বেশী সুন্দর। আচ্ছা আব্বা! বাজারে আর কি কি পাওয়া যায়? অনেক কিছুই পাওয়া যায়। তাহলে শুধু এই ফ্রক আনলেন কেনো? অন্যকিছু আনলেন না কেনো? এক সাথে তো আর সব আনা যায়না। এবার ফ্রক এনেছি। পরে আবার অন্য কিছু আনব। কেমন? আচ্ছা আব্বা! যে দোকান থেকে এই দুটি ফ্রক কিনেছেন, সেখানে আর কি কি রংয়ের ফ্রক আছে? আরো কয়েক রংয়ের আছে। তাহলে এই রঙয়ের আনলেন না কেনো? এ রঙ তো ভালোই। সমস্যা কি? এই রং সুন্দর লাগেনা। কমদামী মনে হয়। তোমার জন্যে আমি বাজারের সবচেয়ে ভালও সুন্দর ফ্রক এনেছি। এগুলো কমদামী নয়। বরং অন্যগুলোর তুলনায় বেশী দামী। এবার নাজিফা খুশী হলো। আনন্দচিত্তে ফ্রক পড়তে লাগলো। এই মেয়েটাকে নিয়ে কি যে করি? বাজার থেকে কিছু আনলেই শুধু প্রশ্ন আর প্রশ্ন! কমদামী কোন জিনিষই ওর পছন্দ নয়!! স্বামীর ঘরে গিয়ে কি করবে, আল্লাহ্ই ভাল জানেন। হতাশ কন্ঠে কথাগুলো বললেন মাযহার সাহেব। ও কিছুই না। বড় হলে সব ঠিক হয়ে যাবে। বললেন আমেনা বেগম। নাজিফা এতক্ষন চুপচাপ ছিলো। ফ্রক পড়া শেষ। নীরবতা ভেংগে সে আবার প্রশ্ন করলো- আব্বা! বাজারে যারা জামা কাপড় বিক্রি করে তাদের বাড়ি কোথায়? জানিনা বিরক্তির সুরে বললেন মাযহার সাহেব। কেন জানেন না? আপনি না আমার আব্বা? না জানলে আব্বা হলেন কিভাবে? মাযহার সাহেব এ প্রশ্নের কোন উত্তর খুজে পেলেন না। তবে মেয়ের পাগলামি কি করে বন্ধ করতে হয়, তা তিনি খুব ভাল করেই জানেন। আর তা হলো- নাজিফাকে পড়ার কথা বলা। তাই তিনি বললেন নাজিফা, তোমার মাদ্রাসায় যাওয়ার সময় হয়ে গিয়েছে। দুপুরের খাবার খেয়ে তাড়াতাড়ি মাদ্রাসায় যাও। নাজিফা মাদ্রাসায় যাওয়ার প্রস্তুতি নিতে শুরু করলো। ভাবখানা এমন, যেন একথাটি শুনার জন্যেই এতক্ষন উন্মুখ হয়ে অপেক্ষা করছিলো। প্রস্তুতি শেষ করে সে, মাদ্রাসায় চলে গেলো।
প্রিয় পাঠক ৩-য় পর্ব আগামীকাল ইনশাআল্লাহ আপনাদের মাঝে প্রকাশ করবো দোয়া করিবেন, যেন আমি সফল হই, এবং আল্লাহ্ তায়ালা আমাকে দ্বীনের খেদমতে কবুল করেন।
আমীন ছুম্মা আমীন -----------------------------------------------------------
সিরিজঃ মহীয়সী নারী। পার্ঠ (২)
লেখকঃ মাওলানা মুহাম্মাদ মফীজুল ইসলাম
সংকলনেঃ আমি হাফেজ মুহাম্মাদ জিয়াউর রহমান
শিশুদের মধ্যে যারা চঞ্চল তাদেরকে সবাই ভালবাসে। আদর করে। স্নেহ করে। কারন তারা মিস্টিমাখা সুন্দর সুন্দর কথা বলে মাতিয়ে রাখে বড়দের। নাজিফাও এক্ষেত্রে কম না। চঞ্চলতা ও বাকপটুতায় সবার মধ্যে অনন্যা। তার কথার নৈপূন্য দ্বারা সেও জয় করে নিয়েছে সকলের মন। মাযহার সাহেব বাজার থেকে নাজিফার জন্যে দু'টি ফ্রক আনলেন। ডাকলেন নাজিফাকে। দেখালেন ফ্রক দু'টি। জিজ্ঞেস করলেন পছন্দ হয়েছে কিনা..?? নাজিফা নেড়ে নেড়ে দেখলেন ফ্রক দু'টি। পছন্দ হয়েছে। তবুও কৌতুহলী হয়ে প্রশ্ন করল সে- আব্বা- বাজার কি আর কোনো ফ্রক ছিলনা? ছিল- মাযহার সাহেবের উত্তর। তাহলে আমার জন্যে মাত্র দুইটা ফ্রক আনলেন কেনো? তোমার তো আরো জামা কাপড় আছে, কয়েকদিন পর আবার এনে দেব। একসাথে বেশী এনে লাভ কি? এখন এ দুটোই পরো, কয়েকদিন পর আবার এনে দেবো। বুঝলাম, তবে এ দুটো আনলেন কেনো? অন্য দুটোও তো আনতে পারতেন? এই দুইটাই বেশী সুন্দর। আচ্ছা আব্বা! বাজারে আর কি কি পাওয়া যায়? অনেক কিছুই পাওয়া যায়। তাহলে শুধু এই ফ্রক আনলেন কেনো? অন্যকিছু আনলেন না কেনো? এক সাথে তো আর সব আনা যায়না। এবার ফ্রক এনেছি। পরে আবার অন্য কিছু আনব। কেমন? আচ্ছা আব্বা! যে দোকান থেকে এই দুটি ফ্রক কিনেছেন, সেখানে আর কি কি রংয়ের ফ্রক আছে? আরো কয়েক রংয়ের আছে। তাহলে এই রঙয়ের আনলেন না কেনো? এ রঙ তো ভালোই। সমস্যা কি? এই রং সুন্দর লাগেনা। কমদামী মনে হয়। তোমার জন্যে আমি বাজারের সবচেয়ে ভালও সুন্দর ফ্রক এনেছি। এগুলো কমদামী নয়। বরং অন্যগুলোর তুলনায় বেশী দামী। এবার নাজিফা খুশী হলো। আনন্দচিত্তে ফ্রক পড়তে লাগলো। এই মেয়েটাকে নিয়ে কি যে করি? বাজার থেকে কিছু আনলেই শুধু প্রশ্ন আর প্রশ্ন! কমদামী কোন জিনিষই ওর পছন্দ নয়!! স্বামীর ঘরে গিয়ে কি করবে, আল্লাহ্ই ভাল জানেন। হতাশ কন্ঠে কথাগুলো বললেন মাযহার সাহেব। ও কিছুই না। বড় হলে সব ঠিক হয়ে যাবে। বললেন আমেনা বেগম। নাজিফা এতক্ষন চুপচাপ ছিলো। ফ্রক পড়া শেষ। নীরবতা ভেংগে সে আবার প্রশ্ন করলো- আব্বা! বাজারে যারা জামা কাপড় বিক্রি করে তাদের বাড়ি কোথায়? জানিনা বিরক্তির সুরে বললেন মাযহার সাহেব। কেন জানেন না? আপনি না আমার আব্বা? না জানলে আব্বা হলেন কিভাবে? মাযহার সাহেব এ প্রশ্নের কোন উত্তর খুজে পেলেন না। তবে মেয়ের পাগলামি কি করে বন্ধ করতে হয়, তা তিনি খুব ভাল করেই জানেন। আর তা হলো- নাজিফাকে পড়ার কথা বলা। তাই তিনি বললেন নাজিফা, তোমার মাদ্রাসায় যাওয়ার সময় হয়ে গিয়েছে। দুপুরের খাবার খেয়ে তাড়াতাড়ি মাদ্রাসায় যাও। নাজিফা মাদ্রাসায় যাওয়ার প্রস্তুতি নিতে শুরু করলো। ভাবখানা এমন, যেন একথাটি শুনার জন্যেই এতক্ষন উন্মুখ হয়ে অপেক্ষা করছিলো। প্রস্তুতি শেষ করে সে, মাদ্রাসায় চলে গেলো।
প্রিয় পাঠক ৩-য় পর্ব আগামীকাল ইনশাআল্লাহ আপনাদের মাঝে প্রকাশ করবো দোয়া করিবেন, যেন আমি সফল হই, এবং আল্লাহ্ তায়ালা আমাকে দ্বীনের খেদমতে কবুল করেন।
আমীন ছুম্মা আমীন -----------------------------------------------------------
সিরিজঃ মহীয়সী নারী। পার্ঠ (২)
লেখকঃ মাওলানা মুহাম্মাদ মফীজুল ইসলাম
সংকলনেঃ আমি হাফেজ মুহাম্মাদ জিয়াউর রহমান





No comments
Post a Comment