সিংহের সাম্রাজ্য।
সিংহের সাম্রাজ্য।
সনাতন রূপ: এক সময় সিংহ পৃথিবীর সব জন্তু জানােয়ারকে শাসন করত, সে ছিল একজন তেজস্বী এবং ন্যায় বিচারক সম্রাট। শুধু তাই নয় একজন সত্যিকারের সম্রাটের যেটুকু দয়ালু হওয়ার কথা সিংহ ছিল ঠিক ততটুকু দয়ালু। একদিন সিংহ সব জন্তুকে ডেকে বলল তার সাম্রাজ্যে আজ থেকে সব জন্তু জানােয়ার পাশাপাশি থাকবে। নেকড়ে এবং ভেড়া, বাঘ এবং হরিণ, চিতা বাঘ এবং ছাগল, কুকুর এবং খরগােস কারাে সাথে কারাে কোন ভেদাভেদ নেই। সবাই একে অন্যকে ভালবাসবে এবং পাশাপাশি শান্তিতে বসবাস করবে। যখন খরগােস সিংহের কথা শুনল সে খুশীতে আত্মহারা হয়ে বলল, আমি কতদিন থেকে এই দিনটির জন্যে অপেক্ষা করছি, যখন দুর্বল সবলের পাশের থাকতে পারবে কোন রকম ভয়ভীতি ছাড়া !
সুবচন: মহত্ত্ব হচ্ছে সত্যিকারের শক্তির উৎস।
আধুনিক রূপ: দেশে ইলেকশানে অনেক ভােট পেয়ে সিংহ শেষ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী হয়েছে। জাতীয় পরিষদের অধিবেশন শুরু হতেই সে ঘােষণা করে দিল, এই দেশে আজ থেকে পশুতে পশুতে কোন ভেদাভেদ নেই। নেকড়ে বাঘ আর ভেড়া এক ফ্ল্যাটে থাকবে, বাঘ গরু এক অফিসে যাবে, কুকুর আর খরগােস এক কলেজে পড়বে। কারাে সাথে কারাে কোন পার্থক্য নেই, সবার সমান অধিকার। এখন থেকে কেউ কাউকে খেতে পারবে না— সিংহের বক্তৃতা শেষ হওয়ার পর তার দলের সব পশুরা প্রচন্ড করতালিতে জাতীয় পরিষদের ভবন প্রায় ফাটিয়ে ফেলল। তখন বিরােধী দলের নেতা দাড়িয়ে বলল, আর গাছ পালা ? সংখ্যা লঘু বলে কি তাদের জীবন নেই? তাদের কি এই দেশে বেঁচে থাকার কোন অধিকার নেই ?
সিংহ মাথা নেড়ে বলল, খাটি কথা । গাছপালারও জীবন আছে, তাদেরকেও কেউ খেতে পারবে না। আজ থেকে তাদের জীবনও নিরাপদ। সিংহের কথা শুনে চারিদিকে সাধু সাধু রব উঠতে থাকে। রেডিও টেলিভিশনে সেই খবর প্রচারিত হল। খবরের কাগজে মহানুভব সিংহের সাম্যবাদী স্বপ্নের কথা নিয়ে বড় বড় সম্পাদকীয় এবং উপ সম্পাদকীয় লেখা হল । সব মিলিয়ে সারা দেশে সব রকম পশুদের মাঝে আনন্দের একটা জোয়ার বয়ে যেতে শুরু করে। যেহেতু দেশে আইন জারী হয়েছে কেউ গাছ পালা তৃণ লতা ঘাস পাতা খেতে পারবে না তাই কিছুদিনের মাঝেই গরু ছাগল হরিণ খরগােস এবং অন্যান্য সব তৃণভােজী প্রাণী না খেতে পেয়ে মারা গেল। বাঘ, সিংহ, নেকড়ে ভালুক এই ধরনের মাংশষী প্রাণীরা অন্য প্রাণীদের খেতে না পেরে একটি একটি করে সবাই মারা পড়ল। কীট পতঙ্গ শস্য দানা খেতে না পেরে পাখীরাও মারা গেল কিছুদিনের মাঝে। সিংহের বিশাল সাম্রাজ্য দেখতে দেখতে প্রাণহীন মৃত রাজ্য হয়ে গেল।
দুর্বচন: ফুড চেইন ভাঙতে হয় না।
সনাতন রূপ: এক সময় সিংহ পৃথিবীর সব জন্তু জানােয়ারকে শাসন করত, সে ছিল একজন তেজস্বী এবং ন্যায় বিচারক সম্রাট। শুধু তাই নয় একজন সত্যিকারের সম্রাটের যেটুকু দয়ালু হওয়ার কথা সিংহ ছিল ঠিক ততটুকু দয়ালু। একদিন সিংহ সব জন্তুকে ডেকে বলল তার সাম্রাজ্যে আজ থেকে সব জন্তু জানােয়ার পাশাপাশি থাকবে। নেকড়ে এবং ভেড়া, বাঘ এবং হরিণ, চিতা বাঘ এবং ছাগল, কুকুর এবং খরগােস কারাে সাথে কারাে কোন ভেদাভেদ নেই। সবাই একে অন্যকে ভালবাসবে এবং পাশাপাশি শান্তিতে বসবাস করবে। যখন খরগােস সিংহের কথা শুনল সে খুশীতে আত্মহারা হয়ে বলল, আমি কতদিন থেকে এই দিনটির জন্যে অপেক্ষা করছি, যখন দুর্বল সবলের পাশের থাকতে পারবে কোন রকম ভয়ভীতি ছাড়া !
সুবচন: মহত্ত্ব হচ্ছে সত্যিকারের শক্তির উৎস।
আধুনিক রূপ: দেশে ইলেকশানে অনেক ভােট পেয়ে সিংহ শেষ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী হয়েছে। জাতীয় পরিষদের অধিবেশন শুরু হতেই সে ঘােষণা করে দিল, এই দেশে আজ থেকে পশুতে পশুতে কোন ভেদাভেদ নেই। নেকড়ে বাঘ আর ভেড়া এক ফ্ল্যাটে থাকবে, বাঘ গরু এক অফিসে যাবে, কুকুর আর খরগােস এক কলেজে পড়বে। কারাে সাথে কারাে কোন পার্থক্য নেই, সবার সমান অধিকার। এখন থেকে কেউ কাউকে খেতে পারবে না— সিংহের বক্তৃতা শেষ হওয়ার পর তার দলের সব পশুরা প্রচন্ড করতালিতে জাতীয় পরিষদের ভবন প্রায় ফাটিয়ে ফেলল। তখন বিরােধী দলের নেতা দাড়িয়ে বলল, আর গাছ পালা ? সংখ্যা লঘু বলে কি তাদের জীবন নেই? তাদের কি এই দেশে বেঁচে থাকার কোন অধিকার নেই ?
সিংহ মাথা নেড়ে বলল, খাটি কথা । গাছপালারও জীবন আছে, তাদেরকেও কেউ খেতে পারবে না। আজ থেকে তাদের জীবনও নিরাপদ। সিংহের কথা শুনে চারিদিকে সাধু সাধু রব উঠতে থাকে। রেডিও টেলিভিশনে সেই খবর প্রচারিত হল। খবরের কাগজে মহানুভব সিংহের সাম্যবাদী স্বপ্নের কথা নিয়ে বড় বড় সম্পাদকীয় এবং উপ সম্পাদকীয় লেখা হল । সব মিলিয়ে সারা দেশে সব রকম পশুদের মাঝে আনন্দের একটা জোয়ার বয়ে যেতে শুরু করে। যেহেতু দেশে আইন জারী হয়েছে কেউ গাছ পালা তৃণ লতা ঘাস পাতা খেতে পারবে না তাই কিছুদিনের মাঝেই গরু ছাগল হরিণ খরগােস এবং অন্যান্য সব তৃণভােজী প্রাণী না খেতে পেয়ে মারা গেল। বাঘ, সিংহ, নেকড়ে ভালুক এই ধরনের মাংশষী প্রাণীরা অন্য প্রাণীদের খেতে না পেরে একটি একটি করে সবাই মারা পড়ল। কীট পতঙ্গ শস্য দানা খেতে না পেরে পাখীরাও মারা গেল কিছুদিনের মাঝে। সিংহের বিশাল সাম্রাজ্য দেখতে দেখতে প্রাণহীন মৃত রাজ্য হয়ে গেল।
দুর্বচন: ফুড চেইন ভাঙতে হয় না।





No comments
Post a Comment