ads

শয়তানী সমুদ্রে গায়েবকৃত বিমান।

                         শয়তানী সমুদ্রে গায়েবকৃত বিমান।



 মার্চ ১৯৫৭ তে দশ দিনের ভিতরে তিন মার্কিন জঙ্গি বিমান পাইলটসহ গায়েব হয়েছে। পরবর্তীতে এদের নাম-নিশানা পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। না পাইলটের কাছ থেকে কোন আবহাওয়া গুলযােগের বার্তা পাওয়া গেছে। বিমানগুলাে ছিল যথাক্রমে JD-1, KB-50, C-97] এছাড়াও জাপানী জঙ্গি বিমান P-J2 ১৬ জুলাই ১৯৭১ সালে গায়েব হয়েছে। কোন বার্তা প্রেরণে সক্ষম হয়নি। পরবর্তীতে ২৭ এপ্রিল ১৯৭১ জাপানেরই আরাে একটি জঙ্গি বিমান P2V-7 গায়েব হয়। এর দুই মাস পর আবার জাপানী ট্রেনিং বিমান IM-1 গায়েব হয়।
 JA-341 যাত্রীবাহী বিমান (যাতে সাংবাদিকদের একটি টিমও ছিল) ঐ এলাকার উপর দিয়ে যাচ্ছিল। এটি পূর্বে গায়েবকৃত মার্কিন কেলিফোর্নিয়ামারাে নামক জাহাজের তদন্তের জন্য ওখান দিয়ে যাচ্ছিল। তারা গায়েবকৃত জাহাজের তদন্ত তাে করতে সক্ষম হয়নি; বরং দুনিয়াকে তারা নিজেদের তদন্তে অবশ্যই লাগিয়েছে। পরবর্তীতে তাদের বাতাসও পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। না সাংবাদিকদের, না যাত্রীদের। ১৯ মার্চ ১৯৫৭, সাবেক ফিলিপাইনী প্রেসিডেন্টের বিমান ২৪ জন সরকারী অফিসার সহ সামুদ্রিক আকাশে অদৃশ্য হয়েছে। কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি। 



                  দ্বিতীয় ভাগ (Bermuda Triangle) বারমুডা ট্রাইএঙ্গেলের অবস্থান


 বারমুডা আটলান্টিক সাগরের সর্বমােট ৩০০ টি দ্বীপ নিয়ে বিস্তৃত এলাকার নাম। যার মধ্যে বেশির ভাগেই অনাবাদী। শুধুমাত্র বিশটি দ্বীপের মধ্যে মানুষের অবস্থান পাওয়া যায়। আর যে এলাকাকে আশংকাজনক মনে করা হয়, তাকে বারমুডা ট্রাইএঙ্গেল বলা হয়। এ এঙ্গেলের আয়তন চারপাশ থেকে ১১৪০০০০ বর্গ কি: মি:। উত্তরে বারমুডার বিভিন্ন দ্বীপ, দক্ষিনপূর্বে পিেরটোরিকো এবং দক্ষিনপশ্চিমে মার্কিন গণতান্ত্রিক সরকার শাসিত প্রসিদ্ধ ফ্লোরিডা শহর। অর্থাৎ এই এঙ্গেলের মূল অবস্থান ফ্লোরিডায়। হ্যাঁ.... ফ্লোরিডা। (ফ্লোরিডার অর্থ হচ্ছে- ওই খােদার শহর যার অপেক্ষা করা হচ্ছে বা ওই খােদা যার অপেক্ষা করা হচ্ছে)।

প্রায় চারশত বছর পূর্ব থেকে ওই বিরান এলাকায় কোন মানুষ বসবাস করেনি। এমনকি জাহাজের ক্যাপ্টেন পর্যন্ত ভয়ে ওই এলাকা থেকে দূরে থাকে। ওখানে একটি কথা খুবই প্রসিদ্ধ যে, "ওখানকার পানির গভীরে ভয়ংকর সব শয়তানী রহস্য লুকায়িত রয়েছে।" এমনকি ওখানকার আকাশপথের ভ্রমণকারীরা এয়ারহােষ্টেসকে পর্যন্ত সর্বপ্রথম জিজ্ঞেস করে- আমাদের বিমান কি বারমুডা ট্রাইএঙ্গেলের উপর দিয়ে যাবে ?? কোম্পানীর জবাব যদিও নেতিবাচক হলেও বাস্তবে তার বিপরীত।

                       বারমুডা ট্রাইএঙ্গেল কি আসলেই ট্রাইএঙ্গেলের আকৃতিত


 বারমুডার ট্রাইএঙ্গেলের পুরাে এরিয়াটাই সমুদ্রে। যা আটলান্টিক সাগরে অবস্থিত। সুতরাং চিন্তার বিষয়- চারিদিকে পানি আর পানি, এখানে এঙ্গেল বা ত্রিভােজের আকৃতি কি করে সম্ভব ?!! সুতরাং প্রথমেই জানতে হবে যে, এঙ্গেল বাস্তব নয়; বরং এটি একটি বিশেষ এলাকার নাম যেখানে অবিশ্বাস্য সব ঘটনার জন্ম হয়। ওই এলাকাকে ট্রাইএঙ্গেল হিসেবে সাধারণ নাম দেয়া হয়েছে। এ নামের ব্যাপারে প্রসিদ্ধ আছে যে, ১৯৪৫ সালে ওই এলাকায় একসাথে কয়েকটি বিমান গায়েব হওয়ার পর এক প্রেস কনফারেন্সে সর্বপ্রথম এই নাম ব্যবহার করা হয়। কিন্তু এটা খুবই রহস্যপূর্ণ যে, নামটি কেন ট্রাইএঙ্গেল রাখা হল।

 ওই দুর্ঘটনার পূর্বেও ওখানে বহু ঘটনার প্রমাণ পাওয়া যায়। কিন্তু তখন ওই এলাকাকে বারমুডা ট্রাইএঙ্গেলের পরিবর্তে শয়তানের দ্বীপ হিসেবে চেনা হত। ক্রেস্টোফার কোলাম্বিস (১৪৫১-১৫০৬) সামুদ্রিক ভ্রমণের সময় যখন ওই এলাকা দিয়ে যাচ্ছিল, তখন সেও ওখানে কিছু অচীন ও আশ্চর্য বিষয় প্রত্যক্ষ করেছিল। যেমন- আগুনের গােলা সমুদ্রের ভেতরে প্রবেশ করা, ওই সীমানায় প্রবেশ করলেই কোন প্রকার যুক্তিসঙ্গত কারণ ছাড়াই কোম্পাস খারাপ হয়ে যাওয়া ইত্যাদি। কোলাম্বিসের আমেরিকা ভ্রমন পাঁচ শতাব্দি পার হয়ে গেল। কিন্তু এ প্রশ্ন আজও বাকী রয়ে গেছে যেওখানকার পানির গভীরে বা পানির উপরিভাগে-আকাশপথে কি এমন রহস্যময় বিষয় গােপন রয়েছে, যার ব্যাখ্যা বর্তমান অত্যাধুনিক স্যাটেলাইটের যুগেও খুজে বের করা সম্ভব হচ্ছেনা। ১৮৫৪ সালের পূর্বে আরব বনিকেরাও ওই এলাকা দিয়ে আসা-যাওয়া করত, কিন্তু তাদের জাহাজ তাে কখনাে দুর্ঘটনা বা কোন অস্বাভাবিক রহস্যের কবলে পড়েনি। অথচ এরকম ঘটনা ওখানে ১৮৫৪ সালের পূর্বেও বহুবার ঘটেছে বলে প্রমাণ পাওয়া যায়।


No comments

Powered by Blogger.