তৃষ্ণার্ত কাক এবং পানির কলসী।
তৃষ্ণার্ত কাক এবং পানির কলসী।
সনাতন রূপ: একদিন একটা তৃষ্ণার্ত কাক পানির খোজে উড়ে উড়ে শেষ পর্যন্ত একটা পানির কলসী খুঁজে পেল যার তলায় অল্প একটু পানি রয়ে গেছে। পানির পরিমাণ এত কম যে অনেক চেষ্টা করেও কাক সেই পানির নাগাল পেল না। হঠাৎ কাকের মাথায় একটা বুদ্ধি খেলে গেল। সে কলসী মাঝে ছােট ছােট নুড়ি পাথর ফেলতে থাকে। কলসীটা যখন নুড়ি পাথরে ভরে যেতে শুরু করল তখন পানিটাও উপরে উঠে আসতে থাকে। পানি যখন কলসীর উপরে উঠে এল বুদ্ধিমান কাকটি সেই পানি খেয়ে তার তৃষ্ণা মেটাল।
আধুনিক রূপ: একটা ছােট শহরে ছিল একটা বুদ্ধিমান কাক এবং শহরের সবাই সেই বুদ্ধিমান কাকের কথা জানত। সে চারটা লেটার পেয়ে এইস.এস.সি. পাশ করে এখন ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার কথা ভাবছে। তার বন্ধু আরেক কাক, পড়াশােনায় সেরকম মনােযােড় নেই বাবার পয়সা উড়িয়ে ঘুরে বেড়ায়। একদিন এই দুই কাক ম্যাটিনি সিনেমা দেখে বের হয়েছে। বাইরে তখন কাঠফাটা রােদ খানিকদূর হাঁটতেই দুজনের তৃষ্ণা পেয়ে গেল। আশে পাশে কোথাও কোন পানি নেই, হাঁটতে হাঁটতে শেষ পর্যন্ত দেখে একটা পানির কলসী। দু’জনে ছুটে গেল কলসীর কাছে, গিয়ে দেখে কলসীর তলায় অল্প খানিকটা পানি পড়ে আছে।
দু'জনে মিলে অনেক চেষ্টা করেও সেই পানির নাগাল পেল না। কাকের বন্ধু হাল ছেড়ে দিয়ে বলল, ধুর! ছেড়ে দে, এই পানি খাওয়ার কোন উপায় নেই। | বুদ্ধিমান কাক বলল, এত সহজে হাল ছাড়িস না, দেখ কি বুদ্ধি বের করি। কি করবি? দেখছিস না চারিদিকে কত নুড়ি পাথর? নুড়ি পাথরের স্পেসেফিক গ্র্যাভিটি পানি থেকে বেশী। পানিতে ছাড়লেই সেটা ডুবে যাবে। তাতে লাভ কি হবে? পানির লেভেলটা উপরে উঠে আসবে। সত্যি? সত্যি। আয় এই নুড়ি পাথরগুলি ভিতরে ফেলতে থাকি। দু’জনে মিলে পাথর ফেলতে শুরু করে। পরিশ্রম সাপেক্ষ কাজ, গরমে দুজনেই ঘেমে উঠে। কলসীর আধা আধি ভরে ফেলে কাক তাকিয়ে দেখে তার বন্ধু আশে পাশে নেই, কখন জানি সরে পড়েছে বড়লােক বাবার আদরের ছেলে পরিশ্রম করে অভ্যাস নেই। বুদ্ধিমান কাক তবু হাল ছাড়ল একাই একটা একটা করে নুড়ি পাথর কলসীর মাঝে ফেলতে থাকে। শেষ পর্যন্ত কলসীতে পানির লেভেলটা কলসীর গলা পর্যন্ত উঠে এল।
নুড়ি পাথরগুলি ছিল কাদা মাটিতে মাখামাখি, তাই পানিটাও ছিল ঘােলা, তার উপর সেখানে একটা পােকা ভাসছে পানি দেখে কাকের নাড়ি উল্টে এল, কিন্তু খুব তৃষ্ণা পেয়েছে, উপায় কি? কাক চোখ কান বন্ধ করে কোনমতে সেই পানি খেয়ে ফেলল। | তৃষ্ণা মিটিয়ে কাক উড়ে এসে একটা গাছে বসে দেখে সেই গাছে একটা ডালে হেলান দিয়ে বসে আছে তার বন্ধু। বন্ধুর হাতে একটা কোল্ড ড্রিংক, খুব আয়েশ করে চুমুক দিয়ে খাচ্ছে। তাকে দেখে বলল, মােড়ের দোকানটা ভােলা ছিল, ভাবলাম এত কষ্ট করে ঘােলা পানি খেয়ে কি হবে? শেষে আবার ডায়েরিয়া না হয়ে যায়। তার থেকে এই কোল্ড ড্রিংকই ভাল। নে, খাবি নাকি এবং
চুমুক? শিক্ষাঃ অপরিস্কার পানি খাওয়া স্বাস্থ্যসম্মত নয়। প্রয়ােজনই নূতন কৌশলের জন্ম দেয়।
সনাতন রূপ: একদিন একটা তৃষ্ণার্ত কাক পানির খোজে উড়ে উড়ে শেষ পর্যন্ত একটা পানির কলসী খুঁজে পেল যার তলায় অল্প একটু পানি রয়ে গেছে। পানির পরিমাণ এত কম যে অনেক চেষ্টা করেও কাক সেই পানির নাগাল পেল না। হঠাৎ কাকের মাথায় একটা বুদ্ধি খেলে গেল। সে কলসী মাঝে ছােট ছােট নুড়ি পাথর ফেলতে থাকে। কলসীটা যখন নুড়ি পাথরে ভরে যেতে শুরু করল তখন পানিটাও উপরে উঠে আসতে থাকে। পানি যখন কলসীর উপরে উঠে এল বুদ্ধিমান কাকটি সেই পানি খেয়ে তার তৃষ্ণা মেটাল।
আধুনিক রূপ: একটা ছােট শহরে ছিল একটা বুদ্ধিমান কাক এবং শহরের সবাই সেই বুদ্ধিমান কাকের কথা জানত। সে চারটা লেটার পেয়ে এইস.এস.সি. পাশ করে এখন ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার কথা ভাবছে। তার বন্ধু আরেক কাক, পড়াশােনায় সেরকম মনােযােড় নেই বাবার পয়সা উড়িয়ে ঘুরে বেড়ায়। একদিন এই দুই কাক ম্যাটিনি সিনেমা দেখে বের হয়েছে। বাইরে তখন কাঠফাটা রােদ খানিকদূর হাঁটতেই দুজনের তৃষ্ণা পেয়ে গেল। আশে পাশে কোথাও কোন পানি নেই, হাঁটতে হাঁটতে শেষ পর্যন্ত দেখে একটা পানির কলসী। দু’জনে ছুটে গেল কলসীর কাছে, গিয়ে দেখে কলসীর তলায় অল্প খানিকটা পানি পড়ে আছে।
দু'জনে মিলে অনেক চেষ্টা করেও সেই পানির নাগাল পেল না। কাকের বন্ধু হাল ছেড়ে দিয়ে বলল, ধুর! ছেড়ে দে, এই পানি খাওয়ার কোন উপায় নেই। | বুদ্ধিমান কাক বলল, এত সহজে হাল ছাড়িস না, দেখ কি বুদ্ধি বের করি। কি করবি? দেখছিস না চারিদিকে কত নুড়ি পাথর? নুড়ি পাথরের স্পেসেফিক গ্র্যাভিটি পানি থেকে বেশী। পানিতে ছাড়লেই সেটা ডুবে যাবে। তাতে লাভ কি হবে? পানির লেভেলটা উপরে উঠে আসবে। সত্যি? সত্যি। আয় এই নুড়ি পাথরগুলি ভিতরে ফেলতে থাকি। দু’জনে মিলে পাথর ফেলতে শুরু করে। পরিশ্রম সাপেক্ষ কাজ, গরমে দুজনেই ঘেমে উঠে। কলসীর আধা আধি ভরে ফেলে কাক তাকিয়ে দেখে তার বন্ধু আশে পাশে নেই, কখন জানি সরে পড়েছে বড়লােক বাবার আদরের ছেলে পরিশ্রম করে অভ্যাস নেই। বুদ্ধিমান কাক তবু হাল ছাড়ল একাই একটা একটা করে নুড়ি পাথর কলসীর মাঝে ফেলতে থাকে। শেষ পর্যন্ত কলসীতে পানির লেভেলটা কলসীর গলা পর্যন্ত উঠে এল।
নুড়ি পাথরগুলি ছিল কাদা মাটিতে মাখামাখি, তাই পানিটাও ছিল ঘােলা, তার উপর সেখানে একটা পােকা ভাসছে পানি দেখে কাকের নাড়ি উল্টে এল, কিন্তু খুব তৃষ্ণা পেয়েছে, উপায় কি? কাক চোখ কান বন্ধ করে কোনমতে সেই পানি খেয়ে ফেলল। | তৃষ্ণা মিটিয়ে কাক উড়ে এসে একটা গাছে বসে দেখে সেই গাছে একটা ডালে হেলান দিয়ে বসে আছে তার বন্ধু। বন্ধুর হাতে একটা কোল্ড ড্রিংক, খুব আয়েশ করে চুমুক দিয়ে খাচ্ছে। তাকে দেখে বলল, মােড়ের দোকানটা ভােলা ছিল, ভাবলাম এত কষ্ট করে ঘােলা পানি খেয়ে কি হবে? শেষে আবার ডায়েরিয়া না হয়ে যায়। তার থেকে এই কোল্ড ড্রিংকই ভাল। নে, খাবি নাকি এবং
চুমুক? শিক্ষাঃ অপরিস্কার পানি খাওয়া স্বাস্থ্যসম্মত নয়। প্রয়ােজনই নূতন কৌশলের জন্ম দেয়।





No comments
Post a Comment